Nurul Amin

উগ্রবাদ সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করে

একইসঙ্গে কোনো ভেদাভেদ ছাড়া বসবাস করতে পারবে।এ জন্য আমাদের প্রতিনিয়ত কাজ করে যেতে হবে। হয়ত ১০০ বছর পর এমন এক পৃথিবী হবে যেখানে ভ্রমণে কোনো ভিসা লাগবে না। লাগলেও হয়তো বিষয়টা খুবই সহজ হবে। আমাদের ভেতর যে প্রতিযোগিতা, অসমতা, ঘৃণা ও ভেদাভেদের জায়গাগুলো আছে সেগুলো আর থাকবে না।পরবর্তী প্রজন্মের জন্য হিংসা-বিদ্বেষ, অসমতা, সহিংসতা ও যুদ্ধবিহীন একটি বিশ্ব আমাদের রেখে যাওয়া প্রয়োজন, যেন তারা একটি স্থিতিশীল পরিবেশে বসবাস করতে পারে, নিজেদেরকে বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে এবং এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারে।শান্তি ও স্থিতিশীলতা যতটা না আর্থিক, ধার্মিক ও জাতীয় বিষয়; তার থেকে অনেকাংশেই এটা নির্ভর করে মানুষের মানসিকতা, চিন্তাশীলতা, সহনশীলতা, ধৈর্যশীলতা ইত্যাদির উপর। আমরা যদি মানসিকভাবে স্থির চিন্তার অধিকারী হই তাহলে দারিদ্র্য কোনো বিষয়ই নয়। কেবল ইতিবাচক চিন্তাশীলতার মাধ্যমেই ৯০% সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, আর বাকি ১০% অর্থনৈতিক সমস্যা আমাদের ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের মাধ্যমে সমাধান হবে।রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের কারণ হলো উগ্র জাতীয়তাবাদ। আর এর কারণেই ইউক্রেন রাশিয়ার উপর থেকে আস্থা হারিয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে ন্যাটোর প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। অথচ এই দুটি দেশ ৭০ বছর একসঙ্গে থেকেছে। ১৯৯১ সালে বিভাজনের পর থেকেই তাদের মাঝে উগ্র জাতীয়তাবাদের কারণে দুটি দেশের মাঝে অস্থিরতার বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করে এবং একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখতে শুরু করে। তাদের এই উগ্র জাতীয়তাবাদ আজ এমন একটি পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে, যা যুদ্ধে পরিণত হয়েছে। এতে জান এবং মাল উভয়ের ক্ষতিসাধন হচ্ছে।১৯৪৭-এ ভারতীয় উপমহাদেশের বিভাজন ধর্মীয় উগ্রবাদ এর কারণে, এত বছর পরেও বিভাজিত দেশগুলোর মাঝে দূরত্ব শুধু বাড়ছেই। ঠিক তেমনি ৩০ বছর পেরিয়ে গেলেও রাশিয়া এবং ইউক্রেনের দূরত্ব বেড়েই চলেছে।