Nurul Amin

এমপি মুহিবুর রহমান মানিকের ছায়াতলে ভারতীয় অবৈধ পণ্যের রমরমা ব্যবসা: ভারতীয় অবৈধ পণ্য সহ গ্রেফতারের পর এমপির হস্তক্ষেপে আওয়ামীলীগ সভাপতি মিজানুর রশিদ ভুইয়ার জামিন

সুনাম গন্জে চোরাকারবারিদের মুলহোতাকে খুঁজে পাওয়া সহজ ছিলোনা। আমার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রশাসনের নজরে আসে সুনামগন্জের ভারতীয় অবৈধ পণ্যের রমরমা ব্যবসা। অবশেষে সকল তথ্য প্রমান পাওয়ার পর গত ২ই জানুয়ারী সুনাম গন্জ সদর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে আওয়ামীলীগ সভাপতির আবাসিক হোটেলে ভারতীয় অবৈধ পণ্য ব্যবসার গোমড় প্রকাশ্যে আসে এবং পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান ভারতীয় অবৈধ পণ্য এবং অস্ত্রসহ আওয়ামীলীগ সভাপতি এবং সহ তাদের ৫ সহযোগিকে গ্রেফতার করে।

কিন্তু অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায়, আওয়ামীলীগ সভাপতির উপরেও আরো কেউ আছে যার ক্ষমতার কারনে সে ধরা ছোয়ার বাইরে। সন্দেহের তীর চলে যায় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক।

পূর্বেও সে অনেক কুর্কীর্তির সাথে জড়িত ছিলো বলে লোকমুখে প্রচলিত আছে। কিন্তু প্রতিবারই সে কোন না কোন ভাবে পার পেয়ে যায়। এবার আমার সন্দেহ আরো বেশি এমপি মুহিবুর রহমান মানিকের দিকে পোক্ত হওয়ার অন্যতম কারন হলো আওয়ামীলীগ সভাপতি মিজানুর রশিদ ভূইয়া বিপুল পরিমান ভারতীয় অবৈধপণ্য সহ হাতেনাতে ধরা পরার পর এবং উপযুক্ত প্রমান থাকার পরেও সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক সরাসরি হস্তক্ষেপে এত তাড়াতাড়ি মুক্তি পাওয়া। সোর্স থেকে খবর পাই সরাসরি এমপি মুহিবুর রহমান সরাসরি তাদের জামিনের জন্য কথা বলেছে।

এতে আর বলার অবকাশ নেই যে নাটেরগুরু আর কেউ নয় স্বয়ং সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক। তা না হলে এত জটিল একটি মামলা হতে এত সহজে জামিন কখনোই সম্ভব নয়। যেখানে সরকারি ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা এসব অবৈধ পণ্য চোরাকারবারিতে যুক্ত সেখানে সাধারন ব্যবসায়ীরা কি করে স্বস্তিতে ব্যবসা করবে। এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে এখনই। সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এসব দূর্নীতিবাজ চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে।