সহিংস উগ্রবাদ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধের প্রতি বেশি গুরুত্ব আরোপ করে তরুণেরা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মীর আকিব জাওয়াদের মতে, ‘পারিবারিক শিক্ষা ও মুক্ত মানসিকতা তৈরি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। এ ছাড়া ধর্ম সম্বন্ধে সঠিক জ্ঞানও উগ্রবাদ প্রতিরোধ করে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাজিফা তাসনিম খানম তিশা বলেন, ‘কিশোর বা তরুণেরাই সাধারণত উগ্রবাদীদের প্রধান টার্গেট থাকে। তাই সমাজের ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে শনাক্ত করে তাদের যথাযথ ধারণা এবং জ্ঞান দিয়ে শিক্ষিত করা সম্ভব হলে উগ্রবাদের হার কমানো সম্ভব।’
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদের ভাষায়, ‘ভিন্ন মতকে স্বাভাবিকভাবে দেখে নিজের বিবেক দিয়ে যদি মানুষ কোনোকিছু বিচার করতে শেখে, তাহলেই উগ্রবাদী সহিংসতা প্রতিরোধ সম্ভব।’
তরুণদের মতে, সহিংস উগ্রবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা, যা উন্নয়ন ও প্রগতির পথে বড় একটি বাধা। এটি প্রতিরোধে প্রয়োজন সঠিক মূল্যবোধ শিক্ষা, পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ়করণ, বহুত্ববাদে বিশ্বাস, সৃজনশীলতার বিকাশ, অন্যের মতকে সম্মান জানানো এবং সহনশীলতা। তরুণেরা চায় এমন একটি পৃথিবী, যেখানে মিলেমিশে বাস করবে সবাই।